নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের গোল্ডেন লাইন কাউন্টার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলামকে মারধর করে নগদ ২লক্ষ ৪৩ হাজার ৯শত টাকা ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় দুই আসামী ইউনুস ও সুজনকে পুলিশ গ্রেফতারে সক্ষমতা দেখালেও রহস্যজনকভাবে এখন পর্যন্ত প্রধান আসামী মোঃ কামাল হোসেন লিটন মোল্লাকে আটক করতে পারেনি। বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে,মামলার প্রধান আসামী বরিশাল শহরতলী কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা এখনো এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ঘোড়া ফেরা করছে।এমনকি তার সহযোগীদের নতুন আড্ডার স্থান হিসেবে গড়িয়ার পাড় এলাকা বেছে নিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এয়ারপোর্ট থানাধীন রামপট্রি এলাকা থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মামলার ৮ নম্বর আসামী মোঃ সুজনকে আটক করেন। এর পূর্বে মামলার ১১নং আসামী ইউনুসকে আটক করা হলেও এখন পর্যন্ত আসল আসামীরা সকলের সামনে থাকার পরও পুলিশ তাদের খুজে পাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত ২২ই জুলাই রাত ১১.৪৫ মিনিটের সময় নথুল্লাবাদ গোল্ডেন লাইন কাউন্টার থেকে বের হয়ে বাসায় যাবার পথে প্রধান আসামী লিটন মোল্লার নির্দেশে তার গ্যাং সদস্যরা বকেয়া চাঁদার টাকা দাবী করে মারধর করে। এসময় সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় যা সিসি ক্যামেরা ধরা পড়ে। পরবর্তীতে উক্ত এলাকায় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ সদস্য ডাক চিৎকার শুনে কাছে এসে আহত শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। এব্যাপারে লিটন মোল্লাকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নামে এয়ারপোর্ট থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়। এ সংক্রান্ত গোল্ডেন লাইন কাউন্টার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম গত ২৬ ই জুলাই শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে জীবনের নিরাপত্তা ও মামলার আসামী গ্রেফতারসহ মামলার সুষ্ট তদন্ত দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
Leave a Reply